কক্সবাজার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪: বঙ্গোপসাগরের লাবণী চ্যানেলে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে "এফবি রশিদা" নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন পাঁচ শতাধিক জেলে। গত বুধবার থেকে কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে কক্সবাজারের অন্তত ১৩টি ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, নিখোঁজ ট্রলারগুলোর মধ্যে রয়েছে এফবি হাসান, এফবি আবছার, এফবি সাবিত, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি কায়সার, এফবি আব্দুল মালেক এক দুই, এফবি আঁখি, এফবি তাহসিন, এফবি বাবুল, এফবি নাছির, এফবি সেলিম, এফবি নজির ও এফবি জনি। এসব ট্রলারে থাকা তিন শতাধিক মাঝিমাল্লার সঙ্গে গত বুধবার থেকে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও, পাঁচ শতাধিক জেলের ফোন নম্বর বন্ধ রয়েছে।
দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে জেলেরা উপকূলে ফিরতে চাইলেও অনেক ট্রলার সমুদ্রে ভেসে গেছে। এখন পর্যন্ত আটটি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানী পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে এবং সেখান থেকে তিন শতাধিক জেলে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ ট্রলারডুবির ঘটনায় ২৩ মাঝিমাল্লার মধ্যে ১৯ জন কূলে উঠতে সক্ষম হন। তবে তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তীরে ফেরা জেলেদের মধ্যে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এলাকায়।
রাত ৮টার দিকে রামু উপজেলার প্যাঁচার দ্বীপ পয়েন্টে নুরুল আমিন (৪০) নামে আরেক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
টানা বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে চলমান এই দুর্ঘটনাগুলোতে এখনো উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং কোস্টগার্ড বাহিনী নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে তৎপর রয়েছে।