বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, "ভৌগোলিক অবস্থান ভিন্ন হলেও আমাদের পরিচয় একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি।" তিনি দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের পুরনো খেলার পুনরাবৃত্তি করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, “সংখ্যালঘুর কার্ড ব্যবহার করে অনেক খেলা হয়েছে। এটা দেশেও হয়েছে, দেশের বাইরেও কম হয়নি। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর স্পর্শকাতর বিষয় আর নির্যাতনের কল্পকাহিনি বলে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অপচেষ্টা বারবার করা হয়েছে। এই পুরনো খেলার পুনরাবৃত্তি এ দেশে আর করতে দেওয়া হবে না। আমাদের উচিত এগুলোকে কবর দিয়ে নিশ্চিহ্ন করা বা চিতায় পুড়িয়ে ভস্ম করে দেওয়া।”

তারেক রহমান আরো বলেন, “আমরা কেউ মসজিদে যাই, কেউ মন্দিরে, কেউ প্যাগোডায় কিংবা গির্জায়। কারো উৎসব ঈদ, কারো দুর্গাপূজা, বড়দিন বা বৈশাখী পূর্ণিমা। কিন্তু এসব আমাদের বিভক্ত করে না; বরং এক অভিন্ন পরিচয়ে আমাদের আবদ্ধ করে। বাংলাদেশের মানচিত্রে আমাদের ঠিকানা ভিন্ন হতে পারে, কেউ পাহাড়ে, কেউ সমতলে, কেউ হাওরে, কেউ দ্বীপে বা উপকূলে। কিন্তু আমাদের সবার পরিচয় একটাই — আমরা সবাই বাংলাদেশি।”

তিনি আরো যোগ করেন, “এই দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে এক ধর্মের উপাসনালয়কে আরেক ধর্মের অনুসারীরা ঐতিহ্যগতভাবে সুরক্ষিত রেখেছে যুগ যুগ ধরে। বারবার প্রমাণ করেছে, এ দেশে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। আমাদের সবারই অভিন্ন পরিচয়—আমরা সবাই বাংলাদেশি। শুধু কথায় নয়, কাজেও এটার প্রমাণ দিতে হবে, যখনই প্রয়োজন হবে।”

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা কর্মীদের আত্মতুষ্টিতে না ভুগে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে যারা ধর্মীয় স্থাপনায় রাজনীতি করে, বাংলাদেশের পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।"

তারেক রহমানের এই বক্তব্য দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রদান করেছে, যেখানে তিনি সকল ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।