ভারত সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে আজ বুধবার বিকেল চারটায় গণভবনের সংবাদ সম্মেলন করেন। সরকারে একাধিক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য দেন ।
শেখ হাসিনা বলেন, 'জ্বালানি তেলের আমদানি উৎস বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে গত ২৮ আগষ্ট ভারতের রাষ্ট্রায়ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে (আইওসিএল) জিটুজি ভিত্তিকে জ্বালানি তেল সরবাহকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ।'এর ফলে তুলনামুলক স্বল্প সময়ে ও সাশ্রয়ী মুল্যে ডিজেল, অকটেন, সার্নেস তেল, এভিয়েশন ফুয়েল আমদানি করা সম্ভব হবে ।
ভারত সফরে উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী । লিখিত বক্তব্যে সেসব তুলে ধরেন তিনি । শেখ হাসিনা বলেন, 'কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টনের সমবোঝা স্মারক স্বাক্ষর , যার মাধ্যমে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত । ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ও অন্যান্য আন্তসিমান্ত রেলসংযোগের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে ।
শেখ হাসিনা বলেন , ভারতীয় নেতৃত্বের শীর্ষ পর্যায়ে, সংবাদমাধ্যমে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আমি বাংলাদেশের জন্য যে প্রীতি ও সৌহার্দ্য লক্ষ্য করেছি , তা সত্যিই অসাধারণ । এই অরীতির সম্পর্ককে সুসংহত করে আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই । এই সফরে সহযোগিতার যেসব ক্ষেত্রে চিহ্নিত হয়েছে এবং বিদ্রমান সমস্যা সমাধানের যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে , তা বাস্তবায়ন করলে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি ।