পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ২০১০ সালের পর আবারও টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড
ও পাকিস্তান দুই দলের সামনেই ছিল দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের
সুযোগ। তবে ক্রিকেটীয় লড়াই ছাপিয়ে ফাইনালের আগে চোখ রাঙাচ্ছিল বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে
ওই আশংকাকে ফাঁকি দিয়ে ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনর্মঞ্চায়ন শুরু হয় ভালোভাবেই।
সেই লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ২০১০ সালের পর আবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
চ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই ৩০ বছর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুদলের শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ের কথা ফিরে ফিরে আসছিল। ১৯৯২ সালের সেই ফাইনালের ভেন্যুও ছিল মেলবোর্ন। সেই ফাইনালে টস ভাগ্য পাকিস্তানের পক্ষে থাকলেও টসে জিতলো ইংল্যান্ডই। তবে মিরাকল অব ৯২ এর সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্য রাখতেই কি-না পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার।
প্রথমে
ব্যাট করে ইংল্যান্ড পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে
পাকিস্তান। ১৩৮ রানের মামুলি টার্গেটও পাহাড়সম
করে দেন পাকিস্তানের পেসাররা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে
স্টোকসের ঠান্ডা মাথার ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয়
পায় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৯২'র প্রতিশোধ নিয়ে টি-২০ বিশকাপের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে
তুললো ইংল্যান্ড। ১৩৮ রানের টার্গেটে
ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় পায় ইংল্যান্ড। ফাইনালে আরও একবার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে
ইংল্যান্ডের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন বেন স্টোকস।