• ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক


Nov 10, 2023
06:33:47

আইসিটি অধিদপ্তর ও পিপলএনটেকের সমঝোতা স্মারক সই

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সাথে বাংলাদেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সামসুল আরেফিন বলেন, আমরা তথ্য প্রযুক্তিতে যত বেশি জনবল তৈরি করতে পারব তত বেশি দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। আমি আশা করছি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ও দক্ষ জনবল তৈরি করতে আইসিটি বিভাগ ও পিপলএনটেক একসাথে কাজ করবে।

এছাড়াও বিদেশের মাটিতে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি গড়ার জন্য চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, আইটিকে প্রধানতম স্তম্ভ হিসাবে তৈরি করলে আমাদের গার্মেন্টসের ওপর নির্ভর করতে হবে না, প্রবাসী রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করতে হবে না।

তিনি বলেন, আমি আমার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আইসিটি বিভাগ যেভাবে গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জনগণের নিকট আইটি শিক্ষা পৌঁছে দিচ্ছে এতে করে আইটি খাতকে বাংলাদেশের প্রধান স্তম্ভ হিসেবে তৈরী করা সম্ভব হবে।

চ্যান্সেলর হানিপ বলেন, আমেরিকান অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগেই একাডেমিক দিকটাকে বেশি জোর দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে সেখান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের পর একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলে চাকরি নিতে হয়। কিন্ত আমি ট্রিপল মিশন নিয়ে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি গড়েছি, সেখানে ডিগ্রি, দক্ষতা ও চাকুরী। 

এই বিশ্ববিদ্যলয় থেকে শিক্ষার্থীরা দক্ষতার সাথে বের হয়ে শতভাগ চাকরি পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ’শিক্ষার্থীরা আমেরিকার বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, কলোম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে এসে পড়শোনা করছে। শুধু দক্ষ হয়ে চাকরী পাবার আশায়। গত ২০ বছরে আমি পিপলএনটেকের মাধ্যমে আমেরিকার মূল ধারায় ১০ হাজার দক্ষ ব্যক্তিতে চাকরি দিয়েছি যারা ১০০ থেকে ২০০ হাজার ডলার ইনকাম করছে।'

ইঞ্জিনিয়ার হানিপ আরো বলেন, সমঝোতা স্মারকের লক্ষ্য আইটি কে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পিপলএনটেক ও আইসিটি অধিদপ্তরের দক্ষ জনবল একসাথে কাজ করবে

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: মোস্তফা কামাল, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক ফাতেমা তুজ জোহরা, পিপলএনটেকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা, ডেপুটি ব্যবস্থাপক (অপারেশন) শেখ আহমেদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, পিপলএনটেক প্রথম ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি স্টেট কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশান ভার্জিনিয়া (SCHEV) থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত এবং NYCDCA অথরাইজড রিক্রুটিং এজেন্সি।

পিপলএনটেক’র শিক্ষণ-শিখন এবং জব প্লেসমেন্ট পদ্ধতি ইতোমধ্যেই একটি সফল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

বর্তমানে পিপলএনটেক ইনস্টিটিউটে ৬০টির অধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণসহ সফটওয়ার টেস্টিং, ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রাশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশান টেস্টিং, বিজনেস অ্যানালিস্ট, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও প্রোফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।